ভিটামিন ই ক্যাপসুল: স্বাস্থ্য উপকারিতা, ব্যবহার এবং সঠিক পরিমাণ
ভিটামিন ই মানবদেহের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান, যা ত্বক, চুল, চোখ এবং অন্যান্য শারীরিক কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজনীয়। এটি এক ধরনের শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরকে ক্ষতিকর উপাদান যেমন ফ্রি র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে রক্ষা করে। ভিটামিন ই সাধারণত তেলযুক্ত খাবারে পাওয়া যায়, তবে অনেক মানুষ এর অভাবের শিকার হন এবং তাদের জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল একটি আদর্শ সাপ্লিমেন্ট হতে পারে।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল: কি, উপকারিতা এবং ব্যবহার
ভিটামিন ই একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাট-দ্রবণীয় ভিটামিন, যা মানবদেহে নানা ধরণের শারীরিক কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি মূলত একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং শরীরের কোষগুলোকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল একটি জনপ্রিয় সাপ্লিমেন্ট, যা শারীরিক সুস্থতার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি সহজে খাওয়া যায় এবং যাদের খাদ্য থেকে পর্যাপ্ত ভিটামিন ই পাওয়া যাচ্ছে না, তাদের জন্য একটি আদর্শ সমাধান হতে পারে।
এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান শরীরের কোষের ক্ষতি রোধ করে এবং বয়সজনিত নানা সমস্যা যেমন ত্বকের বার্ধক্য, চুলের সমস্যা, এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। তাই, এই আর্টিকেলে আমরা ভিটামিন ই ক্যাপসুলের বৈশিষ্ট্য, উপকারিতা, সঠিক ব্যবহারের নিয়ম এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয়
ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয়ঃ ভিটামিন ই একটি ফ্যাট-দ্রবণীয় ভিটামিন, যা মূলত তেলজাতীয় খাবারে পাওয়া যায়। এটি বিভিন্ন প্রাকৃতিক উৎস থেকে পাওয়া যায়, যেমন বাদাম, সূর্যমুখী তেল, পালং শাক, এবং অন্যান্য শাকসবজি। তবে, যদি আপনার খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ই না থাকে, তবে ভিটামিন ই ক্যাপসুল একদম কার্যকরী একটি বিকল্প।
ভিটামিন ই ক্যাপসুলের মাধ্যমে আপনি সহজে দৈনিক ভিটামিন ই এর অভাব পূরণ করতে পারেন। এই ক্যাপসুলগুলোর মধ্যে অ্যালফা-টোকোফেরল নামে একটি প্রধান উপাদান থাকে, যা ভিটামিন ই এর প্রধান সক্রিয় অংশ। এটি শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।
ভিটামিন ই ক্যাপসুলের উপকারিতা
ভিটামিন ই ক্যাপসুলের অনেক ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এখানে কিছু উল্লেখযোগ্য উপকারিতা আলোচনা করা হলো:
১. ত্বকের স্বাস্থ্যঃ ভিটামিন ই ত্বক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের কোষ পুনর্নির্মাণে সাহায্য করে এবং রোদে পোড়া, রিংকেলস, অথবা অন্যান্য ত্বকের সমস্যা কমাতে কার্যকরী হতে পারে। অনেকেই ভিটামিন ই ক্যাপসুল ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে এবং ত্বকের ময়শ্চারাইজেশন উন্নত করতে ব্যবহার করেন।
২. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণঃ ভিটামিন ই একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরের কোষকে ফ্রি র্যাডিক্যালসের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে। ফ্রি র্যাডিক্যালস নানা ধরনের অসুস্থতা এবং বয়সজনিত পরিবর্তন যেমন আলঝেইমার্স, হৃদরোগ, এবং ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। ভিটামিন ই ফ্রি র্যাডিক্যালগুলির প্রভাব কমাতে সহায়ক।
৩. হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোঃ ভিটামিন ই হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক হতে পারে। এটি রক্তনালীর স্বাস্থ্য রক্ষা করে এবং প্লেটলেট সংহতি কমাতে সাহায্য করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। কিছু গবেষণা অনুযায়ী, এটি উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে।
৪. তেজস্ক্রিয়া প্রতিরোধঃ ভিটামিন ই শরীরে তেজস্ক্রিয়া বা ইনফ্লামেশন কমাতে সহায়ক। এটি এমন একটি সমস্যা যা অনেক ধরনের দীর্ঘমেয়াদী রোগের মধ্যে প্রভাব ফেলতে পারে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণের কারণে, এটি শরীরের ইনফ্লামেশন কমিয়ে বিভিন্ন ধরণের অসুস্থতা যেমন আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, এবং অন্যান্য প্রদাহজনিত রোগের লক্ষণ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
৫. চুলের স্বাস্থ্যঃ ভিটামিন ই চুলের বৃদ্ধির জন্যও উপকারী। এটি রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে সাহায্য করে, যার ফলে চুলের শিকড় শক্তিশালী হয় এবং চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়। এটি চুলের শুকনোত্ব এবং ভঙ্গুরতা কমাতেও সাহায্য করতে পারে।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম
ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করার আগে এটি জানা জরুরি যে, সঠিক ডোজ এবং সঠিক সময়ে এর ব্যবহার কীভাবে স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রদান করবে। সাধারণত, ভিটামিন ই সাপ্লিমেন্ট হিসেবে গননো হতে পারে, এবং এটি বিভিন্ন রকম ক্যাপসুল বা ট্যাবলেট আকারে পাওয়া যায়।
ভিটামিন ই এর সঠিক ডোজ মানুষের শরীরের প্রয়োজনীয়তার ওপর নির্ভর করে। সাধারণত, প্রতিদিন ১৫-৩০ মিগ্রা ভিটামিন ই গ্রহণ করা নিরাপদ। তবে, এর উচ্চতর মাত্রা গ্রহণ করলে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে, যেমন রক্তপাতের সমস্যা বা মাথা ঘোরা। তাই, সঠিক ডোজ নির্বাচন করার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার জন্য উপযুক্ত সময় হল খাবারের সাথে বা খাবারের পর। কারণ ভিটামিন ই একটি চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিন, যা খাদ্যপদার্থের চর্বির সঙ্গে মিশে দ্রুত শোষিত হয়। এটি সকালে বা দুপুরে খাওয়া ভালো, তবে রাতেও খাওয়া যেতে পারে।
ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তেল ত্বক বা চুলে ব্যবহার করা যায়। অনেক মানুষ ক্যাপসুলের তেল সরাসরি ত্বক বা চুলে মাখে, যা ত্বককে ময়শ্চারাইজ এবং চুলকে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। তবে, যাদের ত্বক অতিরিক্ত সংবেদনশীল তাদের জন্য ভিটামিন ই ব্যবহার করার আগে একটি স্কিন টেস্ট করা উচিত।
মানব শরীরে ভিটামিন ই এর অভাব: কারণ, লক্ষণ এবং প্রতিকার
ভিটামিন ই একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাট-দ্রবণীয় পুষ্টি উপাদান, যা মানবদেহের বিভিন্ন শারীরিক কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি প্রধানত একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং শরীরকে ফ্রি র্যাডিক্যালস থেকে রক্ষা করে। ভিটামিন ই আমাদের ত্বক, চোখ, চুল, হৃদযন্ত্র এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তবে, কিছু ক্ষেত্রে শরীরে ভিটামিন ই এর অভাব দেখা দিতে পারে, যা বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
এই আর্টিকেলে, আমরা আলোচনা করবো ভিটামিন ই এর অভাবের কারণ, তার লক্ষণ এবং ভিটামিন ই এর অভাবের সমাধান কীভাবে করা যেতে পারে।
ভিটামিন ই কি?
ভিটামিন ই একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাট-দ্রবণীয় ভিটামিন, যা শরীরের কোষের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি প্রধানত তেলজাতীয় খাবারে পাওয়া যায়, যেমন সয়াবিন তেল, সূর্যমুখী তেল, বাদাম, পালং শাক, এবং অন্যান্য শাকসবজি। এটি মূলত শরীরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সিস্টেমকে শক্তিশালী করে এবং কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। ভিটামিন ই শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে, ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে, এবং চোখের সমস্যা প্রতিরোধ করতে সহায়ক।
ভিটামিন ই এর অভাবের কারণ
ভিটামিন ই এর অভাব সাধারণত খাদ্যতালিকায় ভিটামিন ই এর অভাব, অথবা শরীরের ভিটামিন ই শোষণের সমস্যা হওয়ার কারণে হতে পারে। এই সমস্যা বিভিন্ন কারণে ঘটতে পারে, যেমন:
১. অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসঃ যাদের খাদ্যতালিকায় ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবারের অভাব, তাদের মধ্যে ভিটামিন ই এর অভাব হওয়ার ঝুঁকি বেশি। কিছু লোক যারা প্রক্রিয়াজাত খাবার বেশি খান বা পুষ্টির প্রতি কম মনোযোগ দেন, তাদের মধ্যে এই অভাব দেখা দিতে পারে।
২. শোষণ সমস্যাঃ কিছু শারীরিক সমস্যা যেমন কিডনি বা লিভারের রোগ, অন্ত্রের সমস্যার কারণে ভিটামিন ই যথাযথভাবে শোষিত হতে পারে না। উদাহরণস্বরূপ, সিলিয়াক ডিজিজ (Celiac disease), ক্রোনস ডিজিজ (Crohn’s disease), বা সিস্টিক ফাইব্রোসিসের মতো শারীরিক অবস্থা শরীরের ভিটামিন শোষণের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
৩. ওজন কমানোর ডায়েটঃ যারা অত্যন্ত কঠোর ডায়েট অনুসরণ করেন বা খুব কম চর্বি খাওয়ার চেষ্টা করেন, তারা ভিটামিন ই এর অভাবে ভুগতে পারেন। কারণ এটি একটি চর্বি দ্রবণীয় ভিটামিন, এবং শরীরে এটি শোষিত হতে চর্বি প্রয়োজন।
৪. গর্ভাবস্থাঃ গর্ভাবস্থায় কিছু মহিলার শরীরে ভিটামিন ই এর অভাব হতে পারে, কারণ এই সময়ে শরীরের পুষ্টি চাহিদা বেড়ে যায়। বিশেষ করে, যারা নির্দিষ্ট ধরনের সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করেন বা বিশেষ ডায়েট অনুসরণ করেন, তাদের জন্য এই সমস্যা হতে পারে।
৫. অল্প বয়সঃ শিশুদের মধ্যে ভিটামিন ই এর অভাব বেশি দেখা যেতে পারে, বিশেষত যদি তাদের মধ্যে কোনো ধরনের শোষণ সমস্যা থাকে। কিছু শিশুদের দেহ ভিটামিন ই যথাযথভাবে শোষণ করতে পারে না, যা তাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
ভিটামিন ই এর অভাবের লক্ষণ
ভিটামিন ই এর অভাব শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ এবং কার্যক্রমে প্রভাব ফেলতে পারে। এর কিছু সাধারণ লক্ষণ নিম্নরূপ:
১. ত্বকের সমস্যাঃ ভিটামিন ই ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে সহায়ক। এর অভাবে ত্বকে শুষ্কতা, রিংকেলস, সোরিয়াসিস, অথবা ত্বকের প্রদাহ হতে পারে। ভিটামিন ই ত্বককে রক্ষা করে এবং ত্বকের কোষগুলোকে পুনর্নির্মাণে সাহায্য করে। ভিটামিন ই এর অভাবে ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা কমে যায় এবং ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে।
২. চুলের সমস্যাঃ ভিটামিন ই চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়ক। এর অভাবে চুল পড়া বেড়ে যেতে পারে এবং চুল শুষ্ক বা ভঙ্গুর হয়ে যেতে পারে। এছাড়া, চুলের বৃদ্ধির গতি কমে যেতে পারে।
৩. দুর্বল দৃষ্টিশক্তিঃ ভিটামিন ই এর অভাব চোখের স্বাস্থ্যের উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এটি চোখের কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং চোখের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। ভিটামিন ই এর অভাবে রাতকানা বা দৃষ্টির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৪. মাংসপেশী দুর্বলতাঃ ভিটামিন ই এর অভাবে মাংসপেশী দুর্বল হতে পারে এবং চলাফেরায় অসুবিধা হতে পারে। এটি শরীরের স্নায়ুতন্ত্রকে সমর্থন দেয়, যা শরীরের সঠিক কার্যকলাপের জন্য প্রয়োজনীয়। এর অভাবে মাংসপেশী দুর্বল হয়ে পড়ে এবং শরীরের স্বাভাবিক কার্যকলাপ ব্যাহত হতে পারে।
৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার দুর্বলতাঃ ভিটামিন ই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এর অভাবে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে এবং মানুষ সহজেই বিভিন্ন সংক্রমণ বা রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
ভিটামিন ই এর অভাবের প্রতিকার
ভিটামিন ই এর অভাব দূর করার জন্য কিছু সহজ উপায় অনুসরণ করা যেতে পারে:
১. ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণঃ ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া একেবারে প্রথম এবং সবচেয়ে প্রাকৃতিক সমাধান। এটি পাওয়া যায় তেলজাতীয় খাবার যেমন সয়াবিন তেল, সূর্যমুখী তেল, বাদাম, পালং শাক, মাখন, ইত্যাদিতে। এছাড়া, অ্যাভোকাডো, শাকসবজি, এবং সাদা মিষ্টি আলু থেকেও ভিটামিন ই পাওয়া যায়।
২. ভিটামিন ই সাপ্লিমেন্ট গ্রহণঃযাদের খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত ভিটামিন ই নেই, তাদের জন্য ভিটামিন ই সাপ্লিমেন্ট একটি ভালো বিকল্প হতে পারে। তবে, এটি গ্রহণের আগে একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
৩. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসঃ ভিটামিন ই এর শোষণ বাড়ানোর জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তেল, বাদাম, মাশরুম, শাকসবজি, এবং ফলমূল ভিটামিন ই এর ভাল উৎস।
৪. চিকিৎসকের পরামর্শঃ যদি ভিটামিন ই এর অভাব খুব তীব্র হয় বা কোনো গুরুতর শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। চিকিৎসক আপনার শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী সঠিক চিকিৎসা এবং সাপ্লিমেন্ট পরামর্শ দিতে পারবেন।
ভিটামিন ই মানবদেহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং এর অভাব শরীরের নানা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। তাই, ভিটামিন ই এর অভাব প্রতিরোধ করতে সঠিক খাদ্য গ্রহণ, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, এবং প্রয়োজনে সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা জরুরি। স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন এবং পরিপূর্ণ পুষ্টি নিশ্চিত করে আপনি আপনার শরীরের ভিটামিন ই এর অভাব থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন এবং সুস্থ জীবন উপভোগ করতে পারবেন।
ভিটামিন ই এর অভাব
ভিটামিন ই এর অভাব একটি বিরল ঘটনা হলেও, এটি কিছু শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। এর অভাবে ত্বকে শুষ্কতা, চুল পড়া, দুর্বল হৃদপিণ্ড এবং চোখের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া, এটি কোষের ক্ষতি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস করতে পারে।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি ক্ষতি হয়
যদিও ভিটামিন ই সাধারণত নিরাপদ, কিছু মানুষের জন্য এটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে যারা অতিরিক্ত ডোজ গ্রহণ করেন তাদের রক্তপাত, পেট ব্যথা, মাথা ঘোরা, এবং অ্যালার্জি সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই, ভিটামিন ই সাপ্লিমেন্ট নেওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।জেনে নেওয়া উচিৎ ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি ক্ষতি হয়
উপসংহার
ভিটামিন ই একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রমে সহায়ক। ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর স্বাস্থ্য উপকারিতা যেমন ত্বকের স্বাস্থ্য, হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো, চুলের স্বাস্থ্য, এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণগুলো চমৎকারভাবে প্রমাণিত। তবে, এটি গ্রহণ করার আগে সঠিক ডোজ এবং ব্যবহারের নিয়মাবলি সম্পর্কে অবহিত হওয়া প্রয়োজন। আপনার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন ই সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করলে আপনি উপকৃত হতে পারেন এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন উপভোগ করতে পারেন।

আরও পড়ুন
মেয়েদের(১৮-২৫)সেক্স হরমোন বৃদ্ধির খাবার ও তাদের যৌন স্বাস্থ্য
Men’s Penis Pumps 10 Effective Sites in 2025
টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায় প্রাইম টেস্ট ক্যাপসুল ৯০ পিছ এর কার্যকরিতা
১৫ দিনেই লিংগ মোটা করার উপায় ও মাড়াল ক্রিম/মাড়াল জেল
যৌন সমস্যার ৫ টি স্থায়ী সমাধান
১০ টি মোটা হওয়ার উপায়/আমি মোটা হবো কিভাবে
KY Jelly কী 11.50% জলভিত্তিক লুব্রিকেন্ট 50g ব্যবহারের নিয়ম
১০ মিনিটে মহিলাদের সেক্স পাওয়ার বাড়ানোর ট্যাবলেট
আমাদের নিকট পাবেন মহিলা এবং পুরুষের সকল গোপন রোগের সমাধান।আপনি আপ্নার সমস্যার কথা আমাদের কাছে জানিয়ে সে অনুযায়ী সেবা গ্রহন করতে পারেন । মহিলাদের জন্য রয়েছে মহিলা প্রতিনিধি , আর আমদের কাছেই পাবেন প্রোডাক্ট হাতে পেয়ে তারপর পেমেন্ট করার সুবিধা ,তাই দেরি না করে এখনই কল করুন ০১৬২২৬৬৯৩৬৬ এই নম্বরে অথবা ভিসিট করুন www.shopnoghor.com ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেইজে ।
ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ক্যাশ অন ডেলিভারি।
অর্ডার করতে কল করুন:-☎ ০১৬২২৬৬৯৩৬৬
বিকাশ অথবা নগদ করুন:-☎/নগদ পার্সোনাল।
এডভান্স করে অবশ্যই লাস্ট নাম্বার জানাবেন।
আমাদের কাছেই পাবেন পণ্য হাতে পেয়ে চেকিং করে দেখে তারপর পেমেন্ট করতে করার সুবিধা ।
নিশ্চিত অর্ডার করতে ঢাকার ভিতরে 50 টাকা এবং ঢাকার বাইরে 100 টাকা এডভান্স করতে হবে।